উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কোনো কারণ নেই। ২০২৫ সালের পাঠ্যপুস্তকে পাঠদান করা হবে না। শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই নতুন বই নিয়ে পাঠদান শুরু হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষে ১৪ দিন ছুটি থাকবে। উল্লেখযোগ্য ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিন ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। খুলনা মহানগরী ও নয় উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৯শ’ শিক্ষার্থীর বই পাওয়া নিশ্চিত হয়েছে। শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে তাদের হাতে বই পৌঁছাবে। উপজেলা পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে গেছে। ২০২৫ সালের শুরুতেই বই-এর অভাবে এবং শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে পাঠদান ব্যাহত হয়।
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের প্রাক প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বই এর চাহিদা ছিল আট লাখ ৭১ হাজার। ইতোমধ্যেই ছয় লাখ সাত হাজার বই পৌঁছে গেছে। প্রাক প্রাথমিক ও দ্বিতীয় শ্রেণির সব বই উপজেলা পর্যায়ের গুদামে মজুদ হয়েছে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ৩১ শতাংশ বই এখনও পৌঁছায়নি। কর্তৃপক্ষ আশাবাদী ২০ ডিসেম্বর নাগাদ সব বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছাবে। প্রাথমিকের উল্লেখযোগ্য বইগুলো হচ্ছে আমার বাংলা বই, ইংলিশ ফর টুডে, প্রাথমিক গণিত, প্রাথমিক বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ইসলাম শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম শিক্ষা, বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা ও খ্রিষ্ট ধর্ম শিক্ষা। এসব শ্রেণিতে ৩৩টি পাঠ্যপুস্তক থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বৃহস্পতিবার বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার নতুন পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ কার্যক্রম প্রায় শেষ। জেলা পর্যায়ে বেশিরভাগ বই পৌঁছে গেছে। জানুয়ারির শুরুতেই শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পাবে। কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠান করে বই বিতরণ করা হবে না। বই সরাসরি প্রতিটি বিদ্যালয়ে পৌঁছে যাবে। তিনি বলেন, “যে শিক্ষক মূল দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন না, তাকে শিক্ষক বলা যায় না। তবে যারা দায়িত্বের সঙ্গে শিক্ষাদান করছেন, তাদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সব সময় পাশে থাকবো।”
খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম প্রসঙ্গ নিয়ে বলেছেন, “২৫ ডিসেম্বর নাগাদ বই বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছাবে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কোনো কারণ নেই। ২০২৫ সালের পাঠ্যপুস্তকে পাঠদান করা হবে না। শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই নতুন বই নিয়ে পাঠদান শুরু হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষে ১৪ দিন ছুটি থাকবে। উল্লেখযোগ্য ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের দিন ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।”
খুলনা গেজেট/এনএম

